গত রবিবার কৃষ্ণনগর এর সাংসদ মহুয়া মৈত্র তার কর্মী সভায় সাংবাদিক দের দুই পয়সার সাংবাদিক বলে অপমান করে বের করে দেয়। এর ই প্রতিবাদ এই ফেটে পড়েছে গোটা সাংবাদিক মহল ।
সেদিন তৃনমূল এর কর্মী সভায় গোস্টী দন্দের জেরে ক্ষুব্ধ সাংসদ এর রাগ গিয়ে পড়ল “দু-পয়সার সাংবাদিক এর ওপর” । গোস্টী দন্দ প্রকাশ্যে যাতে না আসে তাই বের করে দেওয়া হল গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম কে।
মহুয়া মৈত্র বলেন “কে ডাকে দু-পয়সার” প্রেস কে । এক সাংবাদিক ছবি তোলার সময় তাকে বলেন “কে ঢুকতে দিল আপনাকে? বেরিয়ে জান।” অপমান করে বের করে দেওয়া হয় অই সংবাদ মাধ্যম এর কর্মী কে ।
এরপর ই ক্ষোভ এ ফেটে পরে গোটা সাংবাদিক মহল । ফেসবুক,টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ জুড়ে ছরিয়ে পরে প্রতিবাদ তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এই দাবিতে সরব হন সারা বাংলার সাংবাদিক কর্মীরা ।
বিভিন্ন প্রেস ক্লাব এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ।
সাংসদ মহুয়া মৈত্র যে মন্তব্য করেছেন তা আমাদের সাংবাদিকদের কাছে অপমানজনক। আমরা যারা এই দেশে বসবাস করি আমরা কে না জানি গনতন্ত্র মানে কি ? কিন্তু আমরা কি মানি যে গনতন্ত্রের যেকোনো একটি স্থম্ভ ভেঙে গেলে কি হতে পারে ? হ্যাঁ ঠিক ই বলছি
গনতন্ত্রের প্রথম স্থম্ভ টি হল আইন সভা, বিধানসভা, লোকসভা, রাজ্যসভা। দ্বিতীয় টি হল বিচার ব্যবস্থা নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালত, সর্বোচ্চ আদালত। তৃতীয় স্তম্ভ হল প্রশাসন পুলিশ, আমলা, সরকারি কর্মচারী ।
চতুর্থ স্তম্ভ হল প্রেস, মিডিয়া, সংবাদ মাধ্যম। তাদের কাজ হল সরকারকে, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমলা পুলিশকে প্রশ্ন করা, তাদের ঠিক ভুল সবার সামনে আনা। সেই প্রশ্ন করার অধিকার সংবিধান আমাদের দিয়েছে।
তাহলে কেন বার বার আঘাত হানা হয় গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ তে?
কেন বার বার মার খেতে হয় আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের? কেন প্রশ্ন করলে ভয় দেখানো হয়?
তাহলে কি দরকার নেই সংবাদ মাধ্যম এর ভারতবর্ষের গনতন্ত্র থেকে তাহলে কি সরিয়ে দেওয়া উচিৎ চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম কে?
আমরা ধিক্কার জানাই সাংসদ মহুয়া মৈত্র কে, “হ্যাঁ আমি গর্বিত আমি দু-পয়সার সাংবাদিক” আমরা আপনাদের জন্য নয়, আমরা মানুষের জন্য ছিলাম আছি থাকব ।