এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে আবার গোষ্ঠী কোন্দল শাসকদলের, রাতভর চলল গুলি সেইসঙ্গে বোমাবাজি, গুলির আঘাতে জখম 1 তৃণমূল কর্মী।
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার5 নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার থাকবে তাই নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের মধ্যে বহুবার প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের খবর এসেছে।
শান্তিপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা কার দখলে থাকবে তাই নিয়ে প্রকাশ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা বহুবার দেখা গিয়েছে। গতকাল গভীর রাতে পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষমতা দখল কিরে আবারো প্রকাশ্যে উঠে এলো।
তাহলে কি চালু হতে চলেছে লোক্যাল ট্রেন? বারাসাত সহ উত্তর চব্বিশ পরগনার চিত্র প্রায় একইরকম।
অভিযোগ 5 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোবিন্দদাস গতকাল সন্ধ্যায় যখন রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
পরপর দুই রাউন্ড গোবিন্দ দাস কে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গোবিন্দদাস।
চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা গোবিন্দ দাস কে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।
আহত গোবিন্দদাস এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত। ঘটনার জেরে এলাকায় এখনো উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।