বিলুপ্ত পশুদের আবার ফাঁদে ফেলে বিক্রয় চক্র রমরমিয়ে চলছে। তা নিয়ে নূর সরে বসল পুলিশ আধিকারিকরা হাতেনাতে পেলে বড় সাফল্য|
বড় দিনেরভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে ডিএফও মিলনকান্তি মন্ডল,এডিএফও অনুরাগ চৌধূরী নেতৃত্বে ১৮ জনের বনদফতরের টিম ক্রেতা সেজে ৪ টি হরিণের চামড়া সহ গ্রেফতার করলো ১ জনকে।পাশাপাশি বনদফতরের স্পেশাল টিম ক্রেতা সেজে ৯ টি তক্ষক সহ গ্রেফতার করলো ৪ জনকে|
দুটি ঘটনাই ঘটেছে সুন্দরবনের নামখানা থানার উকিলের হাটের সীমাবাঁধ পেট্রল পাম্প এবং কুলতলি থানার মানিকপীড় এলাকায়।বন দফতর সূত্রে জানা গেল, নামখানার দ্বারিকনগর এলাকার বাসিন্দা মনোরঞ্জন জানা সহ আরও এক জন এদিন ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতে একটি ব্যাগে করে হরিণের চামড়া নিয়ে যাচ্ছিল চোরা পথে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে।সেই সময় বন দফতরের স্পেশাল টিম ক্রেতা সেজে নামখানার সীমাবাঁধ পেট্রল পাম্প এলাকা ঘিরে নিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলে চোরা শিকারি মনোরঞ্জন জানাকে।

বাকী ১ জন চোরা শিকারি আগে থেকে ভাব বুঝতে পেরে চম্পট দেয়।ধৃতের কাছ থেকে বন দফতরের স্পেশাল টিম ৪ টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে|
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছ
এই ঘটনার সঙ্গে কোন আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত আছে কিনা।এমনকি যে চোরা শিকারি পালিয়েছে তাঁর খোঁজে জেলা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি।শুক্রবার দুপুরে ধৃত মনোরঞ্জন জানা কেকাকদ্বীপমহকুমাআদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে বন দফতরের ১৮ জনের স্পেশাল টিম ক্রেতা সেজে কুলতলির মানিকপীড় এলাকা থেকে ৯ টি তক্ষক সহ হাতে নাতে ধরে ফেরে ৪ জনকে।ধৃত অমিত সাঁফুই, কৃষ্ণপদ মন্ডল,পরিতোষ নস্কর, অর্ধেন্দু বৈদ্যের বাড়ি কুলতলি এলাকায়।ধৃত ৪ জনের কাছ থেকে ৯ টি তক্ষক উদ্ধার করে বন দফতরের স্পেশাল টিম|
এদিকে বন দফতরের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে তক্ষক গুলি চোরা পথে বাংলাদেশ থেকে আনা হয়েছে চোরা পথে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে।বন দফতরের ডিএফও মিলনকান্তি মন্ডল এবং এডিএফও অনুরাগ চৌধূরী জানান, পনেরো দিন ধরে পাচারকারী দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল ক্রেতার পরিচয় দিয়ে।




এরপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুলতলির মানিকপীড় এলাকা থেকে বন দফতরের স্পেশাল টিম ক্রেতা সেজে ৯ টি তক্ষক সহ ৪ জনকে এবং ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে নামখানার সীমাবাঁধ পেট্রল পাম্প এলাকা থেকে ৪ টি হরিণের চামড়া সহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।তবে এই ঘটনার সাথে আর কারা কারা যুক্ত আছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বা সরকারি কোন আধিকারিক এই চক্র চালাচ্ছে কিনা তাও তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বনদপ্তরের আধিকারিকরা।