শিলিগুড়ি নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার টি পার্কের স্থলবন্দরে স্থানীয় কর্মী নিয়োগের দাবিকে ঘিরে রণক্ষেত্র থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এরই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এলাকার সমস্ত চালক সংগঠনগুলি কর্মবিরতি পালন করায় কার্যত শুনশান চেহারা নয় স্টেশন চত্বর।
বন্ধ সমস্ত দোকানপাট এবং যান চলাচল। তবে এদিন ট্রেন যাত্রীরা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামলে কোনরকম যান চলাচল না করায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয় রেলযাত্রীদের।
বহু যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ প্রতীক্ষা করে কোনরকম গাড়ি না পেয়ে অবশেষে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রেল যাত্রীরা।
অন্যদিকে এদিন কর্মবিরতিকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয় সে জন্য সকাল থেকেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
পুলিশের পক্ষ থেকে চালক সংগঠনের সদস্যদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নিউ জলপাইগুড়ি শাখা ট্যাক্সি ইউনিয়নের তরফের বাবু দাস বলেন, গতকাল যেভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তারই প্রতিবাদে আজকে আমাদের কর্মবিরতি চলছে তবে কোনোগাড়ি চালককে জোর করা হয়নি প্রত্যেকে নিজের স্ব-ইচ্ছায় এই কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জয়দীপ নন্দী বলেন, যেভাবে কতকাল তৃণমূলের নেতাকর্মীরা স্থলবন্দর চত্বরে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি করে তা কাম্য নয়।
তবে পুলিশ কাল রণক্ষেত্রের জন্য বেশ কয়েকজন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আবার উল্টে আজ তারা যাত্রীদের হয়রানি বাড়াতে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন কর্মবিরতি পালন করছে । বর্তমানে তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে নেই দলের কর্মীরা ও সংগঠন যার ফলে এই পরিস্থিতি রাজ্য জুড়ে।