নদী বাঁধ বাঁচাতে ও এই মহামারী করোনা কালে যখন সারা বিশ্বে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে, ঠিক তখনই এগিয়ে এলো একদল যুবক-যুবতী ইছামতীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ রোপন করতে
ইয়াস ও ভরা কটাল এর করাল গ্রাসে কিভাবে সুন্দরবন বিধ্বস্ত হয়েছে সেটা আমরা বারবার তুলে ধরেছি। পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে আধিকারিকরা একটাই কথা বলে এসেছেন ঝড়ের সময় সুন্দরবন তথা কলকাতা শহর কে বাঁচাতে ম্যানগ্রোভ এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সেই কথা মাথায় রেখেই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ইছামতীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ রোপন করা হলো ।
যেমনি হেতাল , কেওড়া, সুন্দরী, গরান, গেওয়া বহু প্রজাতির গাছ লাগানো হলো।
কেন ম্যানগ্রোভ প্রবল জলস্রোত সময় ম্যানগ্রোভের শিকর মাটি আঁকড়ে রাখে যার জেরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা কম থাকে।
তাই এদিন বসিরহাটের প্যাড নেটওয়ার্ক ও বিজয়িনী উদ্যোগে কয়েকশো মানগ্রভে চারা নদীর পাড়ে বসিয়ে আজ শনিবার ৫ই,জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে শপথ নিলেন।
একদিকে নদী বাঁধ অন্যদিকে পরিবেশ বিশ্ব উষ্ণায়ন কথা মাথায় রেখে তাদের এই উদ্যোগ বলে জানান। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বলেছেন ।
ওই বিজয়িনী সংগঠনের উদ্যোক্তা রত্না মিত্র বলেন, বুলবুল আম্ফান যশের মত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বারবার আঘাত হানছে আমাদের নদী বাঁধের উপর । যার কারণে নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ সব নষ্ট হয়ে গেছে।
অন্যদিকে মহামারি করোনাকালে সারাবিশ্বে সাথে সাথে আমাদের দেশেও অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে, সব মিলিয়ে এই বৃক্ষরোপনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব উন্নয়ন কে সামঞ্জস্য রাখা যাবে বলে মনে করি আমরা।
তাই আমরা সকলেই এগিয়ে আসি বৃক্ষরোপণ করতে সমাজ ও মানব জাতিকে বাঁচাতে হবে।