মহালয় এর পূর্ণ তিথি শুধু ধর্মের বেড়াজাল এ আটকে নেই!মহালয় ভারতীয় সংষ্কৃতিতে অর্তপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে ।
এই বিশেষ পূর্ণ তিথি মহালয় বলে পরিচিত!ধর্মীয় আচার পালনের পীঠস্থান ঈশ্বর দিলীপ চ্যাটার্জী র প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চনতলা কল্যাণ মন্দির এ মহালয় এর শুভলগ্নে প্রতি বছরের মত এ বছরেও দুদিন ব্যাপী উৎসব উপলক্ষে স্বাস্থবিধি মেনে ভক্তদের সমাগম হয়
মন্দির এ!মন্দির এর সেবায়ত শ্রী শঙ্খ চ্যাটার্জী ভক্তদের মনোস্কামনা ও শুভকামনায় পুজোপাঠ এবং মঙ্গল যজ্ঞ আরতি করেন!এ বছর মহালয়ের 47তম বর্ষে আমফান এবং কোরোনা পরবর্তী পরিস্থিতি তে বাৎসরিক পুজোর অনেকটাই খরচ কমিয়ে শঙ্খ সেবা ফোরামএর উদ্যোগ এ মানুষের পাশে দাঁড়াতে শতাধিক মানুষ রক্তদান করেন!
বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির, বস্ত্র বিতরণ ও অক্সিজেন সিলিন্ডার এর ব্যবস্থা করে তারা সামাজিক দায়বদ্ধতা র পরিচয় দিয়েছেন!এদিনের এই অনুষ্ঠান এ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ, বাংলা ধারাবাহিক এর জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রেক্ষম, বিশিষ্ট সমাজসেবী সিরাজুল মন্ডল, বারাসাত পৌরসভা র পৌরপ্রশাসক সুনীল মুখার্জি সহ প্রমুখ।
ভক্তদের ঈশ্বরের বন্দনায় এক অপূর্ব পরিমণ্ডল অনুভূতি হয় শান্ত মায়াবী পরিবেশ এ আগত ভক্তদের বিশ্বাস ও জনশ্রুতি যে এই মন্দির ঈশ্বর জাগ্রত ও কল্যাণ স্বরূপ!কিংবদন্তী এই ধর্মপীঠ এ বাবা ভোলানাথ অন্তত জাগ্রত!মনোস্কামনা পূর্ণ্য করার আদর্শ স্থান কল্যাণ মন্দির, অতিনিষ্ঠা ভাবে সেবায়েত শঙ্খ চ্যাটার্জী পূজা সম্পূর্ণ করেন।
মূল সেবায়েত বংশানু ক্রমে পরম্পরা মেনে যে পূজাদি করেন তা যেমন মনোজ্ঞ ও কল্যাণ কর!পূজা শেষে স্বাস্থ বিধি মেনে প্রসাদ গ্রহণ করেন অগণিত ভক্তরা!উৎসব ঘিরে মন্দির প্রাঙ্গন রূপ নেয় সব ধর্মের মানুষ নিয়ে এক মিলন ক্ষেত্র!ধর্ম আর সংষ্কৃতির আবহে পরম শান্তি বোধ করে প্রতি ভক্ত অনুভব করেন পরম শক্তির এক সমুধর পরশ।