ভাতারের দেবপুরের এক যুবতী আজ ভাতার থানায় দ্বারস্থ হলেন।
অভিযোগ দেবপুরের বাসিন্দা রানা হালদার দীর্ঘদিন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেনি অথচ গতকাল রাত্রে সে নবদ্বীপের এক মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে আসে।
আজ লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ভাতার থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর লিখিত অভিযোগ পাওয়া পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে ।
ওই যুবতী জানান, আমার বাবার বাড়ি বর্ধমানের ছোটনিলপুরে।
2012 সালে আমার বিয়ে হয় ভাতারের দেবপুর গ্রামে। গত তিন বছর আগে আমার স্বামীর সঙ্গে অশান্তি ঘটে।
স্বামী আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। আমার সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
এরপর দেবপুর গ্রামের এক যুবক যার নাম রানা হালদার সে আমার স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক করে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। এরপর সে আমাকে ভালোবাসে বলে জানায়।
প্রায় আড়াই বছর ধরে ওর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমাকে বিয়ে করবো বলেছিলো।
আমার সঙ্গে ওর বহুবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।
আমি তারই কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। আমাকে সেই বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করে রানা হালদার।
আমি সেই কারনে বাচ্চা নষ্ট করে দিই।
এরপর গত এক সপ্তাহ ধরে সে আমার সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখছে না। আমার সন্দেহ হওয়াতে খবর নিয়ে জানতে পারি গতকাল সে বিয়ে করেছে নবদ্বীপের একটি মেয়েকে।
আমি বাবার বাড়িতে থাকছিলাম। বাবার বাড়ির লোকজন আমাকে বের করে দিয়েছে ঘর থেকে। আমার স্বামী নেই।
এখন আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।আমি চাই রানা হালদারের কঠিনতম সাজা হোক।
এ বিষয়ে রানা হালদার এর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।