ভেহিকেল চেকিংয়ের সময় তেলিয়ামুড়া হাওয়াই নাকা পয়েন্ট থেকে একটি দূরপাল্লার লরি থেকে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার।।
ফের একবার তেলিয়ামুড়া হাওয়াই বাড়িতে প্রতিদিন এর মত চেকিং এর সময় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাঁজা উদ্ধার। আটক গাড়ির চালক। মূল অভিযুক্তের তল্লাশিতে চলছে পুলিশি তদন্ত।
বলা যেতে পারে ফের একবার জিরানিয়া চম্পকনগর থানাকে একপ্রকার ঘুমে রেখে তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়ির নাকা পয়েন্টে উদ্ধার লক্ষাধিক মূল্যের শুকনো গাঁজা।
গাঁজা উদ্ধারে ট্রাফিক পুলিশ বাবুদের ভূমিকা অপরিসীম। কয়েক দিনের মধ্যে পর পর মুঙ্গিয়াকামি থানাধীন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়িতে আটক বারো চাকার একটি লরি গাঁজা সহ আজ বৃহস্পতিবার সাতসকালে।
জানা যায় প্রতিদিনের মতোই আজও তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়ির নাকা চেকিংয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ তল্লাশিতে বসে।
ঠিক তখনই আগরতলা থেকে বহি রাজ্যের যাওয়ার জন্য WB 41 F 6167 নম্বরের একটি লরি যার থেকে 53 প্যাকেট তথা 737 কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা।
খবর পেয়ে ছুটে আসে তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক ডি এস পি বিক্রম জিৎ শুক্লা দাস। সেইসাথে গাড়ির চালক সীতারাম যাদব যার বাড়ি বিহার, তাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানায় জিরানিয়া কলাবাগান স্থিত কোন এক জায়গা থেকে এই গাঁজা গুলি বহি রাজ্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
তবে পুলিশ এও জানায় এই গাজার আসল মালিক কে খুঁজে বার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে একথা বলা বাহুল্য যে প্রতিদিন কোথাও-না-কোথাও ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশ কিছু কিছু গাঁজা উদ্ধার করছে।
এতে করে কি নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গঠন করা সম্ভব? তা জানতে চায় আপামোর ত্রিপুরাবাসী। কার মাধ্যমে কিভাবে প্রতিদিন জাতীয় সড়ক ধরে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে এইসব গাঁজা পাচার হচ্ছে। কোন বড় কান্ডারী তার সাথে জড়িত পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসবে মূল পান্ডারা এমনটাই জানাচ্ছেন ট্রাফিক ডি এস পি।।