ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেটকে উদ্দ্যেশ্য করে সারদা কান্ডে অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের চিঠি সভামঞ্চে তুলে ধরে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দাগলেন সাংসদ তথা সর্বভারতীয় যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
রবিবার দুপুরে কুলতলির জামতলায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকা জনসভায় সংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় চিঠি জনসমক্ষে এনে তোপ দেগে বলেন,শুভেন্দু সুদিপ্ত সেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন, এমনকি সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেল করতেন শুভেন্দু অধিকারি।
এমনই সুদীপ্ত সেন চিঠিতে জানিয়েছিলেন বিচারককে। এমনকি সুদীপ্ত সেন যেদিন ফেরার হন তার আগের রাতে শুভেন্দু সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। যদি এই চিঠির হাতের লেখা কার তা ফরেনসিকে পাঠানো হয় হোক,আমি প্রস্তুত আছি। মানুষের ৬ কোটি টাকা মেরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আমাকে তোলাবাজ বলা হচ্ছে।
নাকি আমার জন্য আমার জন্য তোলাবাজি আটকে গিয়েছে। শুভেন্দু ঘুষখোর, তোলাবাজ,মীরজাফর,বিশ্বাসঘাতক। ১০ বছর মধু খেয়ে মীরজাফর এখন সাজছে সাধু।
আমার বিরুদ্ধে সিবিআই,ইডি লাগাতে হবে না। আমার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগের প্রমান আনা হোক তাতে বাংলা মায়ের মুখ কলুষিত হচ্ছে এর জন্য আমি নিজেই ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করবো।
জনতার দরবারে আমি চ্যালেঞ্জ করছি, শিরদাঁড়া বিক্রি করে সিবিআই এর ভয়ে সাধু সাজা হচ্ছে। এদিন বক্তব্যতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কার্যত শুভেন্দুকে তুইতোকারি সম্বধনে নামিয়ে আনেন। তিনি বলেন, কত ক্ষমতা আছে আয় লড়বি।
আমার বিরুদ্ধে প্রমান দে আমি সরাসরি যুক্ত। সততার প্রতিমূর্তি সাজা হচ্ছে। একটা নাম সামনে এনেছি,ভুরি ভুরি আছে যারা সাধু ভাবছে। ক্ষমতায় আসলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবো।কড়ায় গন্ডায় জবাব দেবো।
শুভেন্দু অধিকারিকে ঘুষখোর বলছি তোর ক্ষমতা থাকলে মামলা কর। দলের শুদ্ধিকরণের কথা তুলে সর্বভারতীয় যুব সভাপতি বলেন,২০১৬ সালে দলে বলেছিলাম যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তাঁদের পিছনের সারিতে রাখতে। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদারতায় তা হয়নি, যদি হতো ঠাই হত শ্রীঘরে।
পরিবারতন্ত্র নিয়ে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ৭ জনের পরিবারে ৫ জন রাজনীতি করে। মুকুল রায়,রাজনাথ সিং,কৈলাস বিজয় বর্গী,শুভেন্দু অধিকারী কার পরিবার রাজনীতিতে নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করছি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরিবারে কেউ রাজনীতি করবে না।
একজন রাজনীতি করবে একটাই পরিবারে প্রধানমন্ত্রীকে বলবো সংবিধানের বিল আনতে। আমি সই করবো। কিন্তু বুকের পাটা কি ওদের আছে। পাশাপাশি,ভিক্টোরিয়া কান্ডে সরব হয়ে সংসদ বলেন,মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন বক্তব্য রাখতে ওঠেন সভার পরিবেশকে কলুষিত করার চেষ্টা হয়।
নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। এত রাজ্যের মধ্যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন নেতাজী সহ মনীষীদের অপমান করলে গর্জে উঠতে পিছপা হবেন না। বক্তব্য না রেখে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যারা নেতাজীকে,বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতিকে অপমান করেন তাঁরা কোন বুথে যেন মাথাচাড়া না দিতে পারে তার জবাব দিতে হবে।
ছাইপাস আগাছাদের ঝেটিয়ে এই জেলায় ৩১ এ ৩১ করতে হবে। দেখতে হবে একটিও বিজেপি,সিপিএম না পায়। বিরোধীদের এক হাত নিয়ে সংসদ বলেন, উন্নয়ন আর পরিসংখ্যান নিয়ে লড়াই হোক,৭ বছর ও ১০ বছরের। ১০ গোলে হারাবো। বিজেপির,সিপিএম নেতাদের চোখে ছানি পড়েছে, উন্নয়ন দেখতে পারে না। ব্যাক্তিগত আক্রমনে নেমেছে।
নেত্রি এঁদের জন্য ছানিশ্রি প্রকল্প করে অপারেশন শুরু করবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে ভাঁওতা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি,আর তাঁর দাদা,বৌদি স্বাস্থ্যসাথি কার্ড করিয়েছেন। পরিবারের লোক বাড়াভাতে ছাই মেরে দিয়েছে।