নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশ যখন মারমূখী হয়ে বিভিন্ন সমর্থকদের কাছে যায় এবং লাঠিচার্জ করা শুরু করে তখন এক ব্যক্তি পুলিশের সামনে চলে আসে এবং মারতে যায় তখন পুলিশের সন্দেহ হয়ে ওই ব্যক্তির ওপর এবং তারা মনে করে তার কাছে কিছু লোকানো রয়েছে। তারপরেই পুলিশ তল্লাশি চালায় এবং তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। তারপর পুলিশ সেটিকে বাজেয়াপ্ত করে।

পুলিশ সূত্রের খবর তিনি ভাটপাড়ার বাসিন্দা। নাম বলবন্দর সিং। তার কাছ থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি পাওয়া গেছে সেটির লাইসেন্স তার কাছে আছে। কিন্তু লাইসেন্স থাকলেও কোনো মিছিল বা জমায়েতে এইরকম ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র আনা যায় না। তারপরেও কেন এই ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র মিছিলে আনা হলো সেই বিষয়ে জানা হবে, তার পাশাপাশি সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।




পুরো বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কেন সে এই মিছিলে যোগদান করলো এবং সেই সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলো সে বিষয়ে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। বন্দুকের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।




কেন এই অভিযান এবং মিছিল এই প্রশ্ন করে বিজেপি কর্মীদের অনেকাংশের দাবী, মমতা ব্যানার্জী যখন তখন লোকডাউন করে দিচ্ছেন, কলকাতাকে রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। নানা প্রান্তে পুলিশ বিজেপির মিছিল আটকাচ্ছে। এমনিতে নবান্ন বন্ধ ছিল। চালক আসার কথা ছিল তার এক চতুথাংশ লোক মিছিলে যোগ দিয়েছে তার পরেও সরকার ভয় পেয়ে গেছে তৃনমুলের নেতা কর্মীদের জনরোষের জন্য এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না তাই পুলিশ এখন উর্দি পরা তৃনমুলের ক্যাডারের রূপ নিয়েছে।




বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুদিন ধরে বেশ শোরগোল শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতাসহ বিজেপি কর্মীরা চারিদিকে আন্দোলনের ঝড় তুলেছে। সেইসঙ্গে যখন তখন লোকডাউন, রাজ্যে বেকারত্ব এবং পুলিশের লাঠিচার্জকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত বিজেপি জনতা। গোটা টিটাগড় চত্বরে ভাঙচুর, টায়ার জ্বালানো, ইট বৃষ্টি ইত্যাদি ঘটে চলেছে গত দুদিন ধরে। সেই সঙ্গে চলছে রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ। এই সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত বিজেপি জনতা কর্মী আজ নবান্নে অভিযান করে।