রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। এবার গ্রাম পঞ্চায়েতে গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হলো 10 থেকে 12 টি আলমারি। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।

সূত্রের খবর, সকালে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গেট এবং অফিসের দরজার তালা ভাঙ্গা অবস্থাই দেখতে পাই স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরে স্থানীয়দের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শোভা সরকারকে। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ছুটে আসে শোভা সরকার সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীরা।




তারা এসে দেখে পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরের প্রায় সবকটি ঘরের দরজা তালা ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। ভিতরে গিয়ে দেখে প্রায় 10 থেকে 12 টি আলমারির তালা ভাঙ্গা এবং টেবিলের বেশ কয়েকটি ড্রয়ার ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। কাগজপত্র সব কিছুই ছিটানো ছিল অফিস ঘরে। এরপর খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন শান্তিপুর থানার পুলিশ।




পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকার বলেন, পঞ্চায়েত অফিসে কোন টাকা পয়সা ছিল না। প্রতিদিনের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে দেওয়া হয়। তবে কাগজপত্র সব আগোছালো হয়েছিল। প্রায় 10 থেকে 12 টি আলমারির তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। প্রধানের অভিযোগ, নথিপত্র চুরির উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা।




এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তবে নথিপত্র ছাড়া আরো অন্য কিছু চুরি হয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনো কেউ আটক কিংবা গ্রেপ্তার হয়নি।